কিন্তু পরে দেখা গেছে, ওই বস্তিতে কোনো বাংলাদেশি থাকতেন না। সমালোচকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকেই কর্তৃপক্ষ এ কাজ করেছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাসের পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত। এর মধ্যেই এমন কাণ্ড বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের কথায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওই বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বভালি ওই বস্তির একাধিক ছবি-ভিডিয়ো তুলে টুইটারে পোস্ট করেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ওই এলাকায় অন্য জায়গা থেকে অনেকে এসে বেআইনিভাবে বসবাস শুরু করেছেন। তাদের অনেকেই বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারী। ’
আশ্রয় হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন বস্তির মানুষজন। সূত্রের খবর, তাদের কেউ আসাম, কেউ ত্রিপুরা থেকে কাজের সূত্রে ওই বস্তিতে থাকতেন। কোনো বাংলাদেশিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের দাবি, তারা কেউ বাংলাদেশি নন। সকলেরই ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রামাণ্য নথিপত্র রয়েছে। তাদের সবাই হয় ভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা কর্নাটকেরই বাসিন্দা।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওই বস্তির বাসিন্দারা আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ডের মতো নথিপত্র দেখিয়েছেন। আবার অসম এনআরসিতে যে তাদের নাম রয়েছে, সে রাজ্য থেকে আসা কয়েক জন সেই নথিও দেখিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এজে