বুধবার (২২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াটস-অ্যাপে জেফ বেজোস ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে মেসেজ আদান-প্রদান হয়। মেসেজে এক লিংকের মাধ্যমে হ্যাক করা হয় বেজোসের ফোন।
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জানানো হয়, সালমানের পাঠানো একটি ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করা হয়েছে। ওই ভিডিও ফাইলে গোপন কোড ব্যবহার করে হ্যাক করা হয়। ঘটনার প্রায় দেড় বছর পরে তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বেজোসের ফোন হ্যাক করে তথ্য চুরি করেছে যে হোয়াটস-অ্যাপ একাউন্টটি, তা ব্যবহার করেন সৌদি প্রিন্স সালমান।
গত বছরই ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙে স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বেজোস। পরে প্রকাশিত হয়, সাবেক টিভি উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত ছিলেন তিনি। ধারণা করা হয়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা তথ্যর মধ্যে সানচেজের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বেশ কিছু মেসেজ ছিল। তবে এর মধ্যে অ্যামাজনের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য ছিল কি-না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর সৌদি দূতাবাস থেকে এক টুইটে জানানো হয়, এ প্রতিবেদন নিতান্তই ‘অমূলক’। এ নিয়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তারা।
বেজোসের ফোন আসলেই সালমানের হোয়াটস-অ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছিল কি-না, বুধবার জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এফএম