বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, বুধবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, পাঁচ বিচারপতি নিয়ে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারপতিদের বেঞ্চ আরও জানান, সেসব পিটিশনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট সিএএ’র কোনো পিটিশনের শুনানি করতে পারবেন না। তারা জানান, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের পিটিশনগুলোর ক্ষেত্রে আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যেহেতু ওই দুই রাজ্যে সিএএ’র প্রভাব ভারতের অন্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ ববদের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ ১৪৩টি পিটিশনের শুনানি করছেন। প্রায় সব পিটিশনেই সিএএ’র বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল ভেনু গোপাল জানান, প্রায় ৬০টি পিটিশনের কপি পেয়েছে সরকার। প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আরও সময় দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চার সপ্তাহ সময় দেন সুপ্রিম কোর্ট।
অপরদিকে সিএএ স্থগিত করতে ও জাতীয় জনসংখ্যা তালিকার (এনপিআর) কাজ পেছাতে আদালতে আবেদন করেন ঊর্ধ্বতন আইনজীবী কাপিল সিবাল।
সুপ্রিম কোর্টে সিএএ’র বিরুদ্ধে করা পিটিশনগুলোতে দাবি উঠেছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থি। এসব পিটিশনকারীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
সিএএ অনুযায়ী, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ আইন বৈষম্য সৃষ্টি করবে এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এফএম