গণহত্যা সনদের অধীনে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা শুরু করেছেন বিচারপতি ইউসুফ।
আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে গাম্বিয়ার মামলার রায় পড়া শুরু
গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ গাম্বিয়া।
এরপর গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ৩ দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয়।
শুনানিতে মিয়ানমারের আইনজীবী ক্রিস্টোফার স্টকার বলেছিলেন, গাম্বিয়া মূল আবেদনকারী নয়। আবেদনটি করেছে ইসলামী সহযোগী সংস্থা (ওআইসি)। এ ঘটনায় গাম্বিয়া সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র নয়। মিয়ামনমারের ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হওয়ার কথা ছিল বরং বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন>> গাম্বিয়ার দেওয়া চিত্র অসম্পূর্ণ-বিভ্রান্তিকর: সু চি
সেসময় শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে কিছু সেনা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সু চি।
গাম্বিয়া মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখা যায় না বলে জানায়। তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অন্তর্বর্তী নির্দেশের দেওয়ার অনুরোধ করে।
১৩ জানুয়ারি গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু বকর এম তাম্বাদুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে জানান, ২৩ জানুয়ারি আইসিজে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে করা মামলার রায় জানাবেন।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এইচএডি/