সম্প্রতি যুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী অ্যাকটিভিস্ট কার্তিক রামানাথানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কট্টর সমালোচক, প্রবীণ এই ভাষাবিদ বলেন, ভারতে ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য ব্যাপক হারে বেড়েছে।
কয়েকদিন আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, নাৎসি যুগের দিকে পা বাড়ানো জার্মানির সঙ্গে ভারতের খুব মিল দেখা যাচ্ছে।
ওই সাক্ষাৎকারে চমস্কি বলেছেন, ‘ভারতে আমরা যা দেখছি, তা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ ছাড়াই ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। ফ্যাসিবাদের অর্থ হচ্ছে, একটি সর্বাত্মকবাদী সরকারের রাষ্ট্রের সর্বত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমও সেভাবে সরকারের সমালোচকের স্থান নিতে পারছে না। ’
ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই দক্ষিণপন্থার জয়জয়াকার। প্রত্যেক দেশের নিজস্ব ইতিহাস যেমন তার জন্য দায়ী, তেমনই, চমস্কির মতে, অর্থনীতির অসাম্য একটা বড় কারণ। যত বেশি করে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে অল্প কয়েক জনের হাতে, জনসংখ্যার বিরাট বঞ্চিত অংশের মধ্যে জমছে রাগ আর হতাশা। আমেরিকায় ট্রাম্প, ব্রাজিলে বলসোনারো, ভারতে মোদীর মতো নেতারা সেটা কাজে লাগাচ্ছেন। শরণার্থী, সংখ্যালঘুদের শত্রু বলে চিহ্নিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এজে