বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালতের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানায় মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমগুলো।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সামরিক নেতৃত্বকে অবমাননার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারায় তানিনথারির কাউথাউং শহরের আদালতে আইনজীবী উ কি মিন্ট, কবি উ সাও ওয়াই এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন নাই মিও জিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে শুধু নাই মিও জিন উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত উ কি মিন্ট এবং উ সাও ওয়াইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
রাজনৈতিক কর্মী ও কবি উ সাও ওয়াই জানান, আদালত থেকে তিনি কোনো বৈধ সমনপত্র পাননি। কোনো সমন জারি ছাড়াই তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনের বৈধতার সীমাকে লঙ্ঘন করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আইনজীবী উ কি মিন্ট জানান, মিয়ানমারের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড ২০২ অনুসারে পুলিশ মামলা তদন্ত না করায় তিনি শুনানিতে অংশ নেননি।
তবে পরোয়ানার কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তিনি আদালতে হাজির হবেন বলে আদালত ও পুলিশকে রিপোর্ট করার কথা জানান।
তিনি জানান, মামলার অভিযুক্তরা শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইয়াংগুনে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন।
মিয়ানমারের দণ্ডবিধি ৫০৫ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন কোনো বক্তব্য, প্রতিবেদন বা গুজব প্রচার করেন যাতে সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য বিদ্রোহ করতে উদ্বুদ্ধ করে অথবা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বা অবজ্ঞায় প্ররোচনা দেয়, তবে প্রমাণসাপেক্ষে ওই ব্যক্তিকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী এ অপরাধে অভিযুক্তদের কোনো প্রকার জামিন দেওয়া হয় না।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এ তিন রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধনে তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এবি