জানা যায়, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটিতে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। ২৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটিতে শয্যাসংখ্যা থাকবে এক হাজার।
তবে চীনসহ বিশ্বব্যাপী ‘প্রাণঘাতী’ হয়ে ওঠা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা খুবই কম। ভাইরাসটিতে এরইমধ্যে আট শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন অন্তত ২৬ জন।
** উহান মহানগর: যেখান থেকে ছড়িয়ে পড়লো নতুন করোনা ভাইরাস
এর আগে ২০০৩ সালে বেইজিংয়ের আশপাশে সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতেও নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। সে সময় ভাইরাসটির আক্রমণে চীনের মূল ভূ-খণ্ডে প্রায় সাড়ে তিনশ ও হংকংয়ে প্রায় তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়।
বেইজিংয়ে সেসময় যে কাঠামোতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়, এবারও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন হাসপাতালটি একই কাঠামোতে নির্মাণ হবে।
এরইমধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে চীনের অন্য অঞ্চলসহ থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই সম্প্রতি উহান ভ্রমণ করেছেন বা সেখানে বসবাস করেন।
এ ভাইরাস মানুষের ও প্রাণীদের ফুসফুস সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা বা ফ্লু’র মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস।
এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
জেডএস