সবশেষ তথ্যানুযায়ী, নতুন এ ভাইরাসটিতে থাইল্যান্ডে আরো দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন, সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ আরো একজনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আরো দুইজন নতুন রোগীর কথা বলেছে।
জানা গেছে, চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত আরো অন্তত নয়টি দেশে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে। এসব দেশের ২৩ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন থাইল্যান্ডে, সিঙ্গাপুরে তিনজন, তাইওয়ানে তিনজন, হংকংয়ে দুইজন, ম্যাকাওয়ে দুইজন, জাপানে দুইজন, ভিয়েতনামে দুইজন, দক্ষিণ কোরিয়ায় দুইজন ও যুক্তরাষ্ট্রে দুইজনের শরীরে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে।
তবে তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চীনের উহান শহর, যেখান থেকে ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এরইমধ্যে চীনের আট শতাধিক মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়, ২৬। যা ক্রমেই বাড়ছে।
অন্যদিকে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসাসেবায় কাজ শুরু করবে। যাতে শয্যা থাকবে এক হাজার।
আর ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য চীনের অন্তত ১০টি শহরে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক পর্যটন স্পট ও খাবারের আন্তর্জাতিক চেইন শপ। ফ্লাইট বাতিল করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
জেডএস