আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উহানের এক হাসপাতালে নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হন ৬২ বছর বয়সী চিকিৎসক লিয়াং উদং। ভাইরাসের সংক্রমণেই মৃত্যু হয় তার।
পড়ুন: আরও যেসব দেশে ছড়ালো চীনের করোনা ভাইরাস
উহানের শীর্ষ এক হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান ছিলেন উদং। গত বছর তিনি এ পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাকালীন গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নতুন এ ভাইরাস প্রতিরোধে লড়াই করার জন্য তাকে ‘হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে চীনের শীর্ষ দৈনিক ‘দ্য পিপলস ডেইলি’।
চীনে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১০ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আক্রান্তদের প্রায় সবাই উহান বা এর কাছাকাছি স্থানে ছিলেন। চীন ছাড়াও ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে আরও ১২টি দেশে।
এ ভাইরাস মানুষের ও প্রাণীদের ফুসফুস সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা বা ফ্লু’র মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে এটি।
এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো: শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এফএম