সম্প্রতি দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিআরবি) কাছ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে তা প্রতিবেদনে প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়েছে, ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৪৬ দশমিক শূন্য ছয় কোটি রুপির জালনোট উদ্ধার করেছে।
তাই জালনোট প্রতিরোধে চলতি অর্থবছরে দুই হাজার রুপির আর একটি নোটও ছাপাবে না রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫৪২ দশমিক ৯৯১ মিলিয়ন পিস ২০০০ রুপির নোট ছাপায়। পরের অর্থবছরে ২০১৭-২০১৮ তে তা কমিয়ে ১১১ দশমিক ৫০৭ মিলিয়ন পিস নোট ছাপায় প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা নেমে আসে ৪৬ দশমিক ৬৯০ মিলিয়ন পিসে।
আরবিআইর প্রতিবেদন মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারতের বাজারে ২০০০ রুপির নোটের অংশীদার ছিল ৫০ দশমিক দুই শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা কমে ৩১ দশমিক দুই শতাংশে নেমে আসে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ইস্যু করা ২০০০ রুপির নোট মূল্যমান ছিল ছয় লাখ ৫৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৫০০ রুপির নোট নতুন ইস্যু করার পর মোট রুপির পরিমাণ এসে দাঁড়ায় ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬০০ কোটিতে।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন ডিজাইনের ৫০০ রুপির জালনোট ১২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৮৬৫ পিসে। একই সময়ে ২০০০ হাজার রুপির জালনোট ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৮৪৭ পিসে।
এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২ হাজার ৭২৮ পিস ২০০ রুপির জালনোট শনাক্ত করে আরবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/টিএ