শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা তিনি। মঙ্গলবার বিহারের জহানাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক’ মন্তব্য করার অভিযোগে শারজিলের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লি পুলিশের পাঁচিটি দল তাকে খুঁজছিল। জেরার জন্য তুলে আনা হয় তার ছোট ভাইকেও।
শিগগিরই দিল্লিতে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘কখনই দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু করা উচিত নয়। শারজিলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ’
দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রতিবাদের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে বিভাজনমূলক মন্তব্য করেন শারজিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে শারজিলকে বলতে শোনা যায়, আসামকে ভারত থেকে আলাদা করে দিতে হবে। একটি সরু অংশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারত এ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে আছে। লাখ পাঁচেক মুসলিম ঘাঁটি গেড়ে বসে পড়লেই, উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে। আর তা হলেই হুঁশ ফিরবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। ’
তার ওই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। ক্ষমতাসীদের পক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এজে