বুধবার (জানুয়ারি ২৯) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব করে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এসব পরিকল্পনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখান করেছেন। টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে বলতে চাই, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়। আমাদের অধিকার বিক্রির জন্য নয়। এ নিয়ে দর কষাকষির কোনো সুযোগ নেই। আপনাদের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হবে না।
এ পরিকল্পনা ঘোষণার পরপরই গাজায় বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। তবে ট্রাম্পের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের বিবাদ নিরসনে এ শান্তি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।
ট্রাম্প দাবি করেন, তার পরিকল্পনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই দলের জন্যেই সুবর্ণ সুযোগ। দুই রাষ্ট্রের জন্যই এটি একটি বাস্তববাদী সমাধান, যা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্ব ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা দুটিই রক্ষা করবে।
ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের অংশকে সার্বভৌম বলে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ওই অঞ্চলের একটি খসড়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি এ মানচিত্র অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অঞ্চল আকারে আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। পাশপাশি পূর্ব জেরুজালেমে হবে ফিলিস্তিনের রাজধানী। সেখানে একটি মার্কিন দূতাবাসও প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও দাবি করেন, তার এ পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘নিজস্ব একটি স্বাধীন রাষ্ট্র’ অর্জনের সুযোগ। তবে কীভাবে তা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিকে তাদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। ’ তার মানে পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলিদের সরানো হবে না।
ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ ও মুসলিমদের কাছে আল-হারাম আল-শরীফ হিসেবে পরিচিত পবিত্র ভূমি জেরুজালেম পরিচালনায় জর্দানের রাজার সঙ্গে কাজ করবে ইসরায়েল। প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চল পরিচালনায় ধর্মীয় ট্রাস্ট চালায় জর্দান।
ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দ অঞ্চল নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চার বছর আলোচনা করতে পারবে ফিলিস্তিন। ওই চার বছর ফিলিস্তিনিরা এ পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা ও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে পারবে। এভাবেই ফিলিস্তিনিরা অর্জন করবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এফএম