বুধবার (জানুয়ারি ২৯) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে আব্বাস বলেন, আমি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে বলতে চাই, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়।
তিনি বলেন, যদি জেরুজালেম না থাকে? আমরা কি জেরুজালেম ছাড়া কোনো রাষ্ট্র মেনে নেবো? যে কোনো ফিলিস্তিনি শিশু বা আরব বা মুসলিম বা খ্রিস্টানের জন্যই এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব। এ কারণে শুরু থেকেই আমরা তাদের ‘না’ বলে এসেছি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের অবিভক্ত রাজধানী থাকবে জেরুজালেম। ইসরায়েলের অংশকে সার্বভৌম বলে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ওই অঞ্চলের একটি খসড়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি এ মানচিত্র অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অঞ্চল আকারে আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। পাশপাশি পূর্ব জেরুজালেমে হবে ফিলিস্তিনের রাজধানী। সেখানে একটি মার্কিন দূতাবাসও প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এ পরিকল্পনা ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বাজে চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় নতুন কিছুই নেই। দুই বছর আগেই আমরা শুনেছি তিনি (ট্রাম্প) জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পরিকল্পনা ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা আমাদের অপেক্ষা করতে বললেন। এখন আমরা দেখছি, শুরু থেকেই এটি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল।
এ পরিকল্পনা ঘোষণার পরপরই গাজায় বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। তবে ট্রাম্পের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের বিবাদ নিরসনে এ শান্তি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’ প্রকাশ
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এফএম