বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভাইরাসটিতে একদিনে নতুন করে আরো দেড় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে শনাক্তস্থল হুবেই প্রদেশেই এক হাজারের বেশি।
আর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ১৩২ জনের মৃত্যুর খবরের পর বৃহস্পতিবার তা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। যার মধ্যে হুবেই প্রদেশেই ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ফিনল্যান্ডের পর ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত দেশের তালিকায় যোগ হয়েছে তিব্বতের নাম। দেশটির এক ব্যক্তি নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ‘পুরো বিশ্বকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের প্রধান ড. মাইক রায়ান।
ভাইরাসটির বিষয়ে চীনের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়ে তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ দুর্দান্ত, কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ।
আর ভাইরাসটির বিষয়ে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি’ অবস্থায় রয়েছে কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ফের সভায় বসছে হু।
চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরো আগেই সার্স ভাইরাসের সংখ্যা ছাড়িয়েছে।
চীনের পর থাইল্যান্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিলেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে হংকং, সেখানে ১০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া ম্যাকাও, অস্ট্রেলিয়ায় সাতজন করে ১৪ জন, কম্বোডিয়ায় একজন, কানাডায় দুইজন, ফ্রান্সে চারজন, জার্মানিতে চারজন, জাপানে আটজন, মালয়েশিয়ায় সাতজন, নেপালে একজন, সিঙ্গাপুরে পাঁচজন, দক্ষিণ কোরিয়ায় চারজন, শ্রীলঙ্কায় একজন, তাইওয়ানে আটজন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে চারজন, যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচজন, ফিনল্যান্ডে একজন ও ভিয়েতনামে দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
জেডএস