স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হু’র মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংস্থাটির প্রধান তিনি বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
হু’র কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে চীনে হাজার হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা এই বিষয়ে স্পষ্ট উদাহরণ দেখেছি। ফলে সবকিছু পর্যালোচনা করে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে।
হু ডিজি বলেন, চীনে যা ঘটছে এই কারণে নয়, বরং অন্য দেশে যা ঘটছে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি।
এই ভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্য দেশগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩৬ জন। সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার একশো ছাড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চীনে এ পর্যন্ত ১৭১ জন মানুষ মারা গেছে। এ রোগ মানুষের মাধ্যমেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে চীন থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ৫০০ জন বাংলাদেশি চীনে আটকা পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমআইএস/এএটি