ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৪৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙছে শুক্রবার, নতুন যুগ আসছে বললেন জনসন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
৪৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙছে শুক্রবার, নতুন যুগ আসছে বললেন জনসন

এই দিনটি সেই দিন, যেদিন ইতিহাস গড়ে ৪৭ বছরের সম্পর্ক ভেঙে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। গণভোটের পর তিনবছর সীমাহীন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবারই কার্যকর হচ্ছে ব্রেক্সিট।

যদিও চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ইইউ-ব্রিটেনের বাণিজ্যিক ও অন্যান্য সম্পর্ক প্রায় একই থাকবে। তবে এই সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো প্রশাসনিক কাজ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না ব্রিটেন।

শুক্রবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (১১ টা ৪০ মিনিট) আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে ব্রেক্সিট। এর আগে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ভোটে অনুমোদন পায় ব্রেক্সিট চুক্তি।

মূলত এই অনুমোদনই স্পষ্ট করে দিয়েছে ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিটের পথ। অবশ্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট যে বিপুল ভোটে চুক্তি অনুমোদন দেবে, সেটা আগে থেকেই ধারণা করেছিলেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। কেননা, ব্রাসেলসের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই চুক্তির শর্তগুলোতে সই করে বসেছিলেন আগে থেকেই।

এদিকে, শুক্রবার ঢোকার আগ মুহূর্তে এই দিনটি ব্রিটেনের ‘নতুন যুগের উদয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বলেছেন, ৪৭ বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের জন্য প্রস্তুত ব্রিটেন। আর এটা ব্রিটেনের জন্য শেষ নয়, বরং শুরু।

এসময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি ‘একটি সত্যিকারের পুনরূদ্ধার এবং পরিবর্তনের মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এছাড়া ব্রিটেনের উত্তরণের সময় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশ্যা প্রকাশ করছেন জনসন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে অনেক আগেই। সেই বিদায়ের পরিণতিতে শুক্রবার সিল পড়বে মাত্র। ইইউ থেকে ভালোবাসার কিছু বার্তা আর আগামী দিনের জন্য সতর্কবার্তা শুনে বুধবারই বেক্সিটের চূড়ান্ত পর্যায় পার করেছে ব্রিটেন।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ব্রেক্সিট বিলে স্বাক্ষর করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এছাড়া কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই বিলটি পাস হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে। মূলত ব্রেক্সিট বিল বা ‘ইইউ উইথড্রোয়াল বিলে’ রানির স্বাক্ষর হওয়ার পরেই আইনটি কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছে।

গণভোটের পর নানা বিপত্তিতে বারবার পিছিয়েছে ব্র্রেক্সিট প্রক্রিয়া। শেষপর্যন্ত এতে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ত হয় টেরিজা মে’র। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বরিস জনসনও পড়ে গিয়েছিলেন ব্রেক্সিট হুমকিতে। ভোটাভুটিতে বারবার পরাজয় একপর্যায়ে তাকে বাধ্য করে আগাম সাধারণ নির্বাচন ডাকতে। আর তাতেই ব্রেক্সিটে আলোর মুখ পেয়েছেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি কনজারভেটিভ নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।