চার আসামির মধ্যে বিনয় শর্মার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টের বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করেন।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি তাদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছিল।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে প্রেমিকের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হন ‘নির্ভয়া’। দু’জনকেই মারধরের পর বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। ওই বছরই ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্ভয়ার।
এদিকে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২১ ডিসেম্বর আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করা হলে ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে পাঁচ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। ওই বছরের ১১ মার্চ তিহার জেলে মূল আসামি রাম সিং আত্মহত্যা করে।
পরে ২৩ সেপ্টেম্বর অন্য চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিমকোর্টে এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। ২০১৭ সালের ৫ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্ট। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিমকোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানায় আসামি অক্ষয় কুমার সিংহ। ১৬ ডিসেম্বর রায় পুর্নবিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর তাদের আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশই বহাল রাখলেন সুপ্রিমকোর্ট।
পরে আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ইএস/এএ