বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) পরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, সেসব দেশ নিয়ে আমি বেশি উদ্বিগ্ন যেসব দেশে ভাইরাস আক্রান্তদের শনাক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেসব দেশে রয়েছে, ভাইরাস আক্রান্তদের শনাক্ত ও চিকিৎসায় এবং মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় তাদের জরুরিভিত্তিতে সাহায্য দরকার।
বিভিন্ন দেশে নতুন করোনা ভাইরাস থেকে গণস্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরিভিত্তিতে সাহায্য করার জন্য ডব্লিওএইচও-সহ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রম ও সম্পদ অনুযায়ী কৌশলগত প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (এসপিআরপি) নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ের কথা মাথায় রেখে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস সংক্রমণ কমানো। বিশেষ করে যেসব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল, সেসব দেশে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত ও পৃথক অবস্থায় রেখে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া, দেশের সমাজ ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব কমাতে, ঝুঁকি ও অন্য বিষয়ে সঠিক তথ্য মানুষকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করা ইত্যাদি।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আগেই তাদের সুরক্ষা করার বিষয়টি এ পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান ডব্লিওএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রধান ডক্টর মাইক রায়ান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এফএম