বুধবার লখনউয়ে একাদশ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
মোদী জানান, অস্ত্র নির্মাণসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির জন্য তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশে দু’টি হাব তৈরি করছে সরকার।
তিনি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প’ সামনে রেখে বিশ্বের অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে সেখানে আসার আমন্ত্রণ জানান।
বিনিয়োগকারীদের ভারতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, ‘‘বিনিয়োগ করলে আপনাদের মুনাফা মিলবে প্রচুর। পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতে ভারতও স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। ’’
মোদী দাবি করেন, ২০১৪ সালে ভারত থেকে ২০০০ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি হত। গত দু’বছরে সেই অঙ্ক ১৭০০০ কেটি টাকায় পৌছেছে। আগামী পাঁচ বছরে ভারতের লক্ষ্য ৩৫০০০ কোটি টাকা।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতকে অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য থাকলেও কোনও দেশকে নিশানা করে এ সব করা হচ্ছে না।
মোদী বলেন, প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে ভারতের সম্ভাবনা অসীম। কারণ, এ দেশে প্রতিভা ও প্রযুক্তি রয়েছে। পরিকাঠামোর পাশাপাশি রয়েছে উদ্ভাবনী ক্ষমতা। এ ছাড়া, সরকারের নীতি বিনিয়োগকারীদের লাভের পথ দেখাবে।
ভারতের পত্রিকাগেুলো জানাচ্ছে, প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ঘিরে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। কারণ, প্রদর্শনীর পোস্টারে তুরস্কের তৈরি দুই আসন বিশিষ্ট একটি হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে। যা বানানো হয়েছিল পাকিস্তানের জন্য।
এছাড়া প্রদর্শনীতে আসা বিদেশি অভ্যাগতদের জন্য নির্ধারিত তাঁবুতেও চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। ৩৫টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ৫৪টি দেশের সামরিক প্রধান ও প্রথম সারির অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা পৌঁছেছেন লখনউয়ে। তাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এজে