চীনে এরইমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩৬ জনের। এর মধ্যে ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশের উহানেই মারা গেছেন ৬১৮ জন।
শেষ খবর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাসে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন, বেলজিয়ামে আক্রান্তের সংখ্যা একজন, কম্বোডিয়া কর্তৃপক্ষও একজন আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে।
কানাডায় অন্তত পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন, তবে এর বাইরে দেশটিতে দুইজনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিনল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। ফ্রান্সে অন্তত ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন।
জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন। চীনশাসিত হংকংয়ে এরইমধ্যে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, পাশাপাশি মারাও গেছেন একজন। ভারতে এখন পর্যন্ত তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, ইটালিতেও আক্রান্তের সংখ্যা তিনজন।
চীনের বাইরে সবশেষ তথ্যানুযায়ী জাপানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১ জন যাত্রীবাহী জাহাজে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ম্যাকাওয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। মালয়েশিয়ায় ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নেপালে আক্রান্ত হয়েছেন একজন।
ফিলিপাইনে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও এরইমধ্যে একজন মারা গেছেন। দেশটিতে বর্তমানে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন। সিঙ্গাপুরে অন্তত ৩০ জন আক্রান্ত রয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ২৪ জন, শ্রীলঙ্কা-স্পেন ও সুইডেনে একজন করে তিনজন, তাইওয়ানে ১৬ জন, থাইল্যান্ডে অন্তত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঁচজন, যুক্তরাজ্যে তিনজন, যুক্তরাষ্ট্রে ১২ জন ও ভিয়েতনামে ১২ জন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন।
এদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করা চীনের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং মারা গেছেন। সতর্ক করার পর পুলিশি হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। আর যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
জেডএস