ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানের লেইশেনশান হাসপাতালটি এখন রোগীদের অপেক্ষায়। বলা হচ্ছে, শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হবে।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নির্মিত এ হাসপাতালটিতে মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর শয্যা সংখ্যা দেড় হাজার। করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিশেষভাবে চিকিৎসা সেবা দিতেই এ হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে ১০ দিনের ব্যবধানে গত ২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) উহানের মেয়র জহু জিনওয়াং হিউশেনশান নামের প্রথম হাসপাতালটি তৈরি করা হয়। এরপর হাসপাতালটি দেশটির সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। যা এখন রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা এক হাজার।
এদিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় উহানের একটি উন্মুক্ত স্থল, একটি স্টেডিয়াম এবং একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রকে হাসপাতালে রূপান্তর করার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। স্থানগুলো উহানের জিয়ানগেন, উচেং ও দনজিয়ু জেলায় অবস্থিত।
জরুরি অবস্থায় দ্রুত সময়ে হাসপাতাল তৈরির ঘটনা চীনের কাছে এটিই প্রথম নয়। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সে সময় হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনের হুবেই প্রদেশে শেষ খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২২ জনে। এ ভাইরাসে চীনের হুবেই প্রদেশ ও বিভিন্ন এলাকায় এই পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উহানে এক মার্কিন ও জাপানি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রামক ভাইরাসটি এরইমধ্যে আরো অন্তত ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে তিনশতাধিক মানুষকে আক্রান্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
জেডএস