হামলার পর জাকরাপাথ থোম্মা নামে ওই সেনা সদস্য বেশ কয়েকজন জিম্মি করেছেন বলে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রাথমিক হামলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
এদিকে জিম্মির ঘটনার পর অভিযানে নেমেছে থাই পুলিশ। শেষ খবর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর হেলমেট ও পোশাক পরে হামলাকারী জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। এ সময় হামলাকারী ‘আমি খুবই ক্লান্ত, আমি আমার আঙুল আর নাড়াতে পারছি না’ বলে চিৎকার করতে থাকে। যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজে শোনা যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। হামলার পর ঘটনাস্থলে আগুনও ধরে যায়।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কোরাতের শপিং মলের টার্মিনাল ২১ নম্বরে জনতার উপর হামলা চালানোর পর মলের চতুর্থ তলায় বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে।
এদিকে হামলার আগে সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে লিখেছেন, মৃত্যু সবার জন্য অবশ্যম্ভাবী। এছাড়া তিনি তার পেজে হাতে পিস্তল ও গুলির ছবিও পোস্ট করেন। তাতে ক্যাপশন লেখেন, ‘উত্তেজিত হওয়ার সময় এসছে’।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় সময় শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ফেসবুক লাইভে গিয়ে তিনি হামলা চালান। এ সময় তিনি লেখেন, ‘খুবই ক্লান্ত’।
ওই সেনা সদস্য সামরিক ঘাঁটি থেকে বাহিনীর যান চুরি করে ও একটি রাইফেল নিয়ে কোরাত শপিং মলের টার্মিনাল ২১ নম্বরে জনতার উপর হামলা চালায়। পথে সে একটি গির্জায়ও গুলি চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
জেডএস