অভিযোগ উঠেছে, মুসলিম ছাত্রীদের বোরকা তুলে তাদের গোপনাঙ্গে লাঠি চালিয়েছে দিল্লির নারী পুলিশ। ছাত্রদের গোপনাঙ্গ ও তলপেটেও আঘাত করা হয়েছে।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তাদের মিছিলটি সংসদ ভবন পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। পরে দিল্লি পুলিশ তাদের পথ আটকায়। তারপর দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কিন্তু খানিক পরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ওপর। এ সময় মুসলিম ছাত্রীর বোরকা তুলে গোপনাঙ্গে লাঠি চালায় দিল্লির নারী পুলিশ। শুধু তাই নয়, ছাত্রদেরও গোপনাঙ্গে ও তলপেটে আঘাত করেছে পুলিশ। এই তথ্য জানিয়েছে জামিয়ার আহত শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির আল-শিফা হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের বুকে এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে আর ফলে শরীরে অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন কয়েকজন। একজন ছাত্রী বলেন, পুলিশ বুট জুতা দিয়ে গোপানাঙ্গে মারতে থাকে। তারপর একজন নারী পুলিশ আমার বোরকা তুলে লাঠি দিয়ে গোপানাঙ্গে আঘাত করেছে।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশ আমাদের বেল্টের ঠিক নিচে মারছিল। ক্যামেরাগুলো ওপরে তাক করা ছিল বলে তারা বুদ্ধি করেই এটা করেছে, যাতে ক্যামেরায় ধরা না পড়ে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি এক ছাত্র বলেন, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছিলাম যাতে আমাদের আন্দোলন করতে দেওয়া হয়। অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্য ছিল না আমাদের। কিন্তু সেসব না শুনে পুলিশ লাঠি চালাতে থাকে। আমি দু'বার অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।
এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা অনেকবার শিক্ষর্থীদের আটকানোর চেষ্টা করেছেন। সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি ছিল না তাদের কাছে। কিন্তু কোনোভাবেই কথা না শোনায় তারা লাঠি চালাতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০