জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে ওই জাহাজের প্রায় তিন হাজার সাতশ’ যাত্রীকে দুই সপ্তাহ ধরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটিতে কাজ করছেন। তিনি মাস্ক ও গ্লাভস পরেই যাত্রী ও ক্রুদের স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছিলেন। তবে নিজেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখার পোশাক পরেননি তিনি।
ওই জাহাজের ৪৩ বছর বয়সী এক যাত্রী বলেন, কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তার বিষয়টি ভয়ঙ্কর। প্রথম ব্যাচে যেসব কর্মকর্তা জাহাজে এসেছেন, তিনি সম্ভবত তাদেরই একজন। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যারা আমাদের কক্ষে এসেছিলেন, তারা সার্জিক্যাল মাস্ক ও গ্লাভস পরেছিলেন। তবে যারা ভাইরাস টেস্ট করতে এসেছিলেন তারা গাউন ও পুরো মুখঢাকা মাস্ক পরেছিলেন।
ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর মহামারী রোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফিসম্যান বলেন, মাস্ক পরে থাকলেও নানাভাবে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। হাত পরিষ্কার না থাকলে, মাস্ক ধরে হাত না ধোয়া হলে, বা মাস্ক পরা সত্ত্বেও দূষিত হাতে চোখ ধরলে... এরকম হতে পারে। সুরক্ষার জন্য পোশাক পরলে ঝুঁকি কমে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা চলে যায় না।
এদিকে বুধবার পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১১৩ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এফএম