এ দিন দেশটির কানাগাওয়া জেলায় অশীতিপর এক বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাৎসুনোবু কাতু জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই নারী।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী টোকিওতে এক ট্যাক্সিচালকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওয়াকাইয়ামায় এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সবমিলে এখানের প্রায় পৌনে ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সূর্যোদয়ের দেশটিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত চীনে মারা গেছেন দেড় হাজারের মতো মানুষ। এরমধ্যে শুধু বৃহস্পতিবার মারা গেছেন ১১৬ জন। তবে দেশটিতে একদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। এ দিনের সংখ্যা ২৪২। যা অন্যান্য একেকটি দিনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।
শেষ খবর পর্যন্ত জাপান ছাড়া চীনের বাইরে আরও দুইখানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এরমধ্যে সম্প্রতি হংকংয়ে মারা গেছেন একজন। আরেকজন ফিলিপাইনে।
গত বছরের শেষদিকে চীনের মধ্যাঞ্চল হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রোগও ছড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
এসব দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকংয়ে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
টিএ