শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মালির সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের বরাত দিয়ে তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
মালির মধ্যাঞ্চলীয় মপতি অঞ্চলের ওগোসাগু গ্রামে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চালানো এক হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছেন।
গ্রামপ্রধান আলী ওসমান বারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, হঠাৎ করে ৩০ জনের মতো বন্দুকধারী এসে হামলা করে।
এদিকে সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলায় গ্রামটিতে ফুলানিদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গবাদিপশুও লুট করে নিয়ে যায়।
তবে বিবৃতিতে হামলাকারীদের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
নাম গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, নৃতাত্ত্বিক দোগন শিকারী গোত্রের লোকেরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
মালির এ অঞ্চলে ফুলানি ও দোগনদের মধ্যে প্রায়ই জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ মার্চে ওগোসাগু গ্রামটিতে দোগনদের হামলায় ১৬০ ফুলানি গ্রামবাসী নিহত হন।
ফুলানি জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন তাবিতাল পুলাকুর মুখপাত্র হামাদু দিকো অবশ্য দাবি করেন, হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি জানান, হামলাকারীরা চলাচল করা সবকিছুইকেই গুলি করে।
এদিকে শুক্রবার মালির কেন্দ্রীয় গাও অঞ্চলে অতর্কিত এক হামলায় সেনাবাহিনীর আট সদস্য নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
মালির সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে এ হামলার বিষয়টি জানানো হলেও হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে কোনো কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
অপর এক ঘটনায় বার্কিনাফাসো সীমান্তের কাছে মনদোরো সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় এক সেনা নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়।
মালিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীগত সহিংসতায় প্রতিবছর হাজার হাজার লোকের প্রাণহানী হয়। এ সহিংসতা দমাতে গিয়ে দেশটির সেনা সদস্যরাও প্রাণ হারান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এবি