নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে এক জনসভায় তিনি জানিয়ে দিলেন, চাপের মুখে কোনোভাবেই সিএএ চালু করা থেকে পিছিয়ে আসবেন না তিনি।
রোববার দিল্লিতে কেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রণ থাকলেও সেখানে না গিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে চলে যান।
সেখানে একটি জনসভায় তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরে দেশ সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং সিএএর মতো আইন চালু করার অপেক্ষায় ছিল। দেশের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ’
নাগরিকত্ব আইন চালু করা নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আমরা অটল এবং আমরা তা থাকবও। কোনও চাপের মুখেই তা থেকে পিছিয়ে আসব না। ’
দিল্লির শাহীনবাগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন।
এছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্য নাগরিকত্ব আইন না মানার ঘোষণা দিয়েছে।
মোদী সরকারের করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কারণে সংখ্যালঘুরা বিপদে পড়বেন। বিশেষ করে লাখ লাখ মুসলিম ভারত থেকে বিতাড়িত হতে পারেন। মোদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির প্রথম সারির অনেক নেতাই সরাসরি বলেছেন, মুসলমানদের ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। এ থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর কূটকৌশল হিসেবেই মোদী সরকার এ আইন করেছে। এমন অভিযোগ তুলে ভারতের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীরাও এ আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এ আইনের কারণে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মোদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এজে