বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
অজ্ঞাত গ্যাসে বিষক্রিয়ায় গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি করাচির কেয়ামারি এলাকায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হলেও এ রহস্যের কোনো কূল-কিনারা করা যায়নি এখনো।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিন্ধু প্রদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ নাসির হুসেইন শাহের উপস্থিতিতে করাচি কমিশনার ইফতিখার শালওয়ানি জানান, এ ঘটনার কারণ হিসেবে বেশ কিছু তত্ত্ব বিবেচনা করা হলেও ওই গ্যাসের উৎস ও ধরন এখনো অজ্ঞাত। তবে, তদন্ত চলছে বলা জানান তিনি।
এদিকে ডক্টর জিয়াউদ্দিন হাসপাতালের মুখপাত্র আমির শেহজাদ জানান, গত দু’দিনে ওই হাসপাতালের কেয়ামারি ক্যাম্পাসে মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। পুলিশ জানায়, কুতিয়ানা হাসপাতালে আরও দু’জন মারা গেছেন।
সিন্ধু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সিভিল হসপিটাল করাচিতে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর জানান। বুরহানি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এছাড়া, এলাকাটির বিভিন্ন স্থানে ২৫০ জন স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের সবারই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
সিন্ধু পরিবেশ রক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মুজতবা বাইগ জানান, মঙ্গলবার ওই এলাকায় জরিপ চালানোসহ সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাসের সঠিক উৎস ও কারণ তারা জানাতে পারেননি। ‘কিছু একটা হচ্ছিল’ দাবি করলেও কী হচ্ছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কেউই।
এদিকে বাসিন্দাদের ওই এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ। কেননা এলাকাটিতে এখনো ‘দুর্গন্ধ’ রয়েছে এবং মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
করাচির নির্দিষ্ট একটি এলাকাতেই এ গ্যাস নিঃসরণের ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মারা গেছেন, তাদের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে এবং এর প্রতিবেদন আসতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান শালওয়ানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এফএম