বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় গত সপ্তাহে ওই দুই যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো বলেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর তাদের (মৃত দুই যাত্রী) চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আমার বিশ্বাস, সবচেয়ে সেরা চিকিৎসাই পেয়েছেন তারা।
জাহাজটির প্রায় তিন হাজার সাতশ’ যাত্রীকে দু’ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্তত ৬২১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে তারা জাহাজ ছাড়তে শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে জাহাজ ছেড়েছেন কয়েকশ’ যাত্রী। আগামী দু’দিনে অন্যরাও জাহাজ ছেড়ে যাবেন। জাহাজটির ১৫০ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক দেশটির ডারউইন শহরে পৌঁছেছেন। সেখানে তারা দু’ সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। হংকংয়ের কয়েকজন নাগরিক অঞ্চলটিতে পৌঁছেছেন এবং তাদেরও একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটিতে অবস্থানরত ৭৪ ব্রিটিশ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।
রোববার রাতে (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটি থেকে প্রায় ৩৪০ জন মার্কিন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে দু’টি প্লেন পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। উড়তে শুরু করার পর সেখানে ১৪ আরোহী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তখন তাদের অন্য আরোহীদের কাছ থেকে আলাদা করে প্লেনের ভেতরেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। প্লেন দু’টির সব আরোহীকে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ঘাঁটিতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৪ হাজার ৫৭৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১১৮ জনের। এছাড়া ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ফ্রান্সে একজন করে, ইরান ও হংকংয়ে দু’জন করে এবং জাপানে তিনজন মারা গেছেন। চীন ছাড়া অন্য দেশগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এফএম