এ বিষয়ে খনি কর্মকর্তা কে কে রায় বলেন, সরকার ইজারা দেওয়ার মাধ্যমে খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের চিন্তা করছে। এজন্য জরিপ চালানো হচ্ছে।
প্রদেশের সনপাহাড়ি এবং হারদি ফিল্ডে খনি দুটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সনপাহাড়ি ফিল্ডে মজুদ রয়েছে দুই হাজার সাতশ টন স্বর্ণ, আর হারদি ফিল্ডে রয়েছে ছয়শ ৫০ টন স্বর্ণ।
উত্তর প্রদেশের মাওবাদী উপদ্রুত সোনভদ্রায় খনি দুটি অবস্থিত। স্বর্ণখনির এলাকা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সাত সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে প্রদেশটির খনি বিভাগ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ সোনভদ্রা সহজে খনন করা সম্ভব। খনিজ সম্পদ উত্তোলনে সরকার শিগগিরই নিলাম ডাকবে।
স্বর্ণ ছাড়াও ওই এলাকায় দুর্লভ খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্মকর্তারা। প্রদেশটির বুন্দেলখন্দ ও বিদ্যান জেলায় সোনা, হীরা, প্লাটিনাম, চুনাপাথর, গ্রানাইট, ফসফেট, কোয়ার্টজ এবং চীনামাটির মতো মূল্যবান খনিজ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
বিশাল পরিমাণে স্বর্ণ ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের সন্ধান ভারতের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে দক্ষ এবং অদক্ষ দুই ধরনের শ্রমিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এটি উত্তর প্রদেশের দুটি জেলার পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) দেওয়া তথ্যানুযায়ী, হলুদ রঙের এ ধাতু ভারতের কাছে মজুদ রয়েছে ছয়শ ২৬ টন, যা বৈশ্বিক স্বর্ণ মজুদের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি আট হাজার একশ ৩৩ টন স্বর্ণ মজুদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। তিন হাজার তিনশ ৬৬ টন স্বর্ণ মজুদ নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সংস্থাটির কাছে মজুদ থাকা স্বর্ণের পরিমাণ দুই হাজার আটশ ১৪ টন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
জেডএস