শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন জিএসআই’র মহাপরিচালক এম শ্রীধর।
জিএসআই’র প্রধান বলেন, আমাদের জরিপ সংস্থা থেকে এরকম কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি… জিএসআই সোনভদ্রা জেলায় জরিপ চালিয়ে এ ধরনের কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি।
১৯৯৮-৯৯ এবং ১৯৯৯-২০০০ সময়ে আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ওই অঞ্চলে জরিপ চালাই এবং তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় তাতে যে পরিমাণ স্বর্ণ পাওয়া যায়, তাতে সোনভদ্রা জেলায় নতুন করে আর খননের বিষয়ে আমরা উৎসাহ দেইনি, যোগ করেন এম শ্রীধর।
ভারতের উত্তর প্রদেশের সনপাহাড়ি এবং হারদি ফিল্ডে দুটি স্বর্ণ খনির সন্ধান পাওয়ায় খবর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। খবরে বলা হয়, খনিগুলোতে তিন হাজার টনের বেশি স্বর্ণ মজুদ রয়েছে। যা দেশটির বর্তমান মজুদের পাঁচগুণ। তবে একদিনের ব্যবধানে স্থানীয় কর্মকর্তাদের ওই দাবিকে উড়িয়ে দিলো দেশটির ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) দেওয়া তথ্যানুযায়ী, হলুদ রঙের এ ধাতু ভারতের কাছে মজুদ রয়েছে ছয়শ ২৬ টন, যা বৈশ্বিক স্বর্ণ মজুদের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি আট হাজার একশ ৩৩ টন স্বর্ণ মজুদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। তিন হাজার তিনশ ৬৬ টন স্বর্ণ মজুদ নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সংস্থাটির কাছে মজুদ থাকা স্বর্ণের পরিমাণ দুই হাজার আটশ ১৪ টন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
জেডএস