হাতে নীল রঙের ব্যান্ড লাগিয়ে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে তারা ওই সড়কে অবস্থান নেন। শুরুতে দুইশ নারী থাকলেও রাতভর চলা এ কর্মসূচিতে আরো অনেকে যোগ দিলে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তা দেড় হাজারে পৌঁছায়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে জানান, সরকারি চাকরির জন্য কোটা ও সংরক্ষণ কোনো মৌলিক অধিকার নয়। আদালতের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে বনধ কর্মসূচির আহ্বান জানান ভীম আর্মি। আর তাতে সাড়া দিয়ে জাফরাবাদের মেট্রো স্টেশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন দুইশ নারী প্রতিবাদকারী।
এদিকে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দিতে পুলিশ বেশ তৎপরতা শুরু করে। যদিও তাতে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সুফল পায়নি পুলিশ।
সড়ক অবরোধের বিষয়ে এক নারী প্রতিবাদকারী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা সিএএ, এনআরসি থেকে মুক্তি চাই। এ সময় তাদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ‘স্বাধীনতা’ শ্লোগান দিতে শোনা যায়।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বেদ প্রকাশ সুরিয়া জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশ দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন সড়ক থেকে সরে যায়…একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তারা এভাবে বন্ধ করে রাখতে পারে না। এ বিষয় সমাধানে আমরা আধা সামরিক বাহিনীকেও ডেকেছি।
এর আগে গত ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে (সিএএ) জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের কাছে সড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
জেডএস