এমন সময়ে ভারত সফরে এসেছেন ট্রাম্প যখন ভারত অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ চলছে দেশটিতে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইন্সটিটিইউশনের ভারত বিষয়ের পরিচালক তানভি মাদন বলেছেন, এ সফর মোদীকে রাজনৈতিকভাবে চাঙ্গা করবে। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির পাশে দেখা যাবে, যা তার জন্য ভালো সংবাদ তৈরি করবে।
অন্যদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে এটিই প্রথম ভারত সফর ট্রাম্পের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এ সফরের পেছনে অন্যতম কারণ এটি তার রাজনৈতিক ইমেজের জন্য ভালো। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৫ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এ সফর তাদের সমর্থন অর্জনের একটি সুযোগ।
সাধারণত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেন। ন্যাশনাল এশিয়ান আমেরিকান জরিপ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নির্বাচনে মাত্র ১৬ শতাংশ ভারতীয় ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
এছাড়া, এ সফরের মূলকেন্দ্রে রয়েছে সম্ভাব্য একটি বাণিজ্য চুক্তি। গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’ পক্ষের মধ্যে। তবে এ সফরের আগেই ট্রাম্প বলেছেন, ভারতের সঙ্গে এখনই বড়সড় কোনো চুক্তিতে তিনি যেতে চান না। তারপরও ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানো, রফতানি শুল্ক কমানোসহ বাণিজ্য চুক্তির দিকে নজর থাকবে মোদীর।
তাছাড়া, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতির সুযোগ নিয়ে ভারত চীনের বিকল্প হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে।
প্রতিরক্ষা খাতেও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ সফরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এফএম