মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সূত্রে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯১ বছর।
খবরে বলা হয়, কায়রোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে ২০১১ সালে মিশরজুড়ে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়েন দেশটির সাবেক এ একনায়ক। এর আগে ১৯৮১ থেকে ৩০ বছর মিশর শাসন করেন তিনি।
ক্ষমতা ছাড়ার পরপরই বিভিন্ন অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। কিন্তু ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সব অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৯২৮ সালে নীলনদ তীরের মনুফিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন হোসনি মুবারক। ১৯৪৯ সালে মিশরের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭২ সালে তিনি বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় মুবারক জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। যুদ্ধের পর ১৯৭৫ সালে তাকে মিশরের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত।
১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাতের হত্যার পর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার চিফ মার্শাল হোসনি মুবারক দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তখন থেকে ৩০ বছর তিনি মিশর শাসন করেন।
মুবারকের অধীনে মিশর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে ভূমিকা রাখে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে মিশরের জনগণ মুবারকের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামে। গণবিক্ষোভের মুখে ১১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন হোসনি মুবারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এবি/এজে