বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চীনা গবেষকরা নতুন করোনা ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করেন।
এটি তৈরি করে মানুষের ওপর পরীক্ষা করার জন্য এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি) এ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) বিজ্ঞানীরা এটি পরীক্ষা করছেন।
জাপানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীবাহী জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক যাত্রী স্বেচ্ছায় নিজের ওপর এ ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হয়েছেন। এ রোগে আক্রান্ত আরও অনেকেই এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়া, নতুন করোনা ভাইরাসের ওপর ইবোলার জন্য তৈরি করা রেমডেসিভির নামে একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১০ দিন এ ড্রাগ ও একটি প্লাসেবো (নকল) ড্রাগ রোগীদের ওপর পরীক্ষা করা হবে। যদি ভাইরাসের ওপর এ ড্রাগের কোনো কার্যক্ষমতা দেখা যায়, তাহলে সংক্রমণ মোকাবিলায় কিছুটা হলেও সাহায্য হবে।
কোভিড-১৯ প্রতিকারে মডার্নার ভ্যাক্সিন খুব অল্প সময়ে তৈরি করা হয়েছে। কারণ নতুন এক জেনেটিক মেথডে এটি তৈরি হয়েছে যেখানে অনেক ভাইরাস নয়, প্রয়োজন হয় এম-আরএনএ। এটি প্রোটিন তৈরি করে, যা শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এফএম