সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লিতে টানা তিনদিন ধরে সংঘর্ষ চলার পর বুধবার মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইটে তিনি সবাইকে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার’ ডাক দিয়েছেন।
এর কিছুক্ষণ পরই এক টুইটে ইমরান বলেন, ‘ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের ঘটনার পরেই আমি গত বছর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেছিলাম, বোতল থেকে দৈত্যটা বেরিয়ে পড়ল। এ বার রক্তপাত আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলাম। যার সূত্রপাত হয়েছিল কাশ্মিরে। ভারতে থাকা ২০ কোটি মুসলিম এখন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। এটা রুখতে গোটা বিশ্বকে এবার এগিয়ে আসতে হবে। ’
ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। তিন দিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। দুটি মসজিদে আগুন দেওয়া হয়েছে। মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা লাগানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুসলিমদের কয়েকশ দোকান ও বাড়িঘর।
অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের উসকানিমূলক বক্তব্যের পরই দিল্লিতে সহিংসতা শুরু হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, পুলিশের নাকের ডগায় সব হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে দিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘর্ষের সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। সাংবাদিকরা আক্রান্ত হলেও পুলিশ তাদের সাহায্য করেনি।
সংঘর্ষ এড়াতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি দিল্লির সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন তিনি। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এজে