এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নতুন এক তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আহত অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে।
অনেকেরই মাথায় গুরুতর চোট। আহতদের অন্তত ৪৬ জনের শরীরে বুলেটের ক্ষত মিলেছে।
ভারতের একটি দৈনিকের অনলাইন জানাচ্ছে, মুস্তাফাবাদ থেকে বেশ কিছু আহত মানুষ এসেছেন হাসপাতালে। তাদের অনেকের চোখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। এরইমধ্যে দৃষ্টি হারিয়েছেন চার জন। খুরশিদ নামে এক জনের দু’চোখই নষ্ট হয়ে গেছে। তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও পাননি তিনি। রিকশায় এসেছেন। দুই চোখসহ পুরো মুখ ঝলসে গেছে ওয়কিল নামের আরেক জনের।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও বুধবার দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, পুলিশকে অ্যাসিড হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে।
দিল্লির জাফরাবাদ-মৌজপুর এখন ফাঁকা হয়ে গেলেও উত্তেজনা থামেনি। এলাকা থমথমে। ফাঁকা রাস্তায় পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড পড়ে আছে। দেখা গেছে, বেছে বেছে মুসলিমদের দোকানগুলো পোড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে শত শত মুসলিম পরিবার। তারা শহরের নিরাপদ এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দুরাও তাদের নিরাপত্তায় এগিয়ে এসেছে।
বিভিন্ন মহল্লায় ঢুকে বেছে বেছে মুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাদ যায়নি মসজিদ-মাদরাসাও। এমনকি মসজিদের ভেতরে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের বেধড়ক পেটানো হয়েছে। গুলিও করা হয়েছে। পুলিশে খবর দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে সহিংসতার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির আদালত।
বৃহস্পতিবার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এজে