ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দিল্লি সহিংসতা: মুসলিমদের আশ্রয় দিয়েছে হিন্দুরাও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
দিল্লি সহিংসতা: মুসলিমদের আশ্রয় দিয়েছে হিন্দুরাও

দিল্লিতে মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ৫ দিন ধরে চলা সহিংসতায় মুসলিমদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ মাদরাসা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মুসলিম পরিবার। 

এ অবস্থায় শহরের নিরাপদ এলাকায় মুসলিমদের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছেন ঘরহারা মুসলিম নারী পুরুষ। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার অর্ধশত মুসলিম নারী পুরুষকে আশ্রয় দিয়েছে।

 

দিল্লির অশোকনগর এলাকার কয়েকটি হিন্দু পরিবার মুসলিমদের আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।  

মঙ্গলবার ওই মুসলিম পরিবারগুলোর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসেন হিন্দুরা।

মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকশ উগ্র হিন্দুত্ববাদী অশোকনগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। তারা মুসলমানদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সেখানকার স্থানীয় মসজিদে ওই সময় অন্তত ২০ জন নামাজ পড়ছিলেন। তাদেরকে বেধড়ক পেটানো হয়। তারা মসজিদে ভাংচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়।  

স্থানীয়রা বলছেন, দাঙ্গাবাজরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। তাদেরকে বারবার করে এসব করতে নিষেধ করা হলেও শোনেনি। বেশিরভাগ যুবকের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।

অশোক নগরের স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ খেত্রি বলেন, আমরা ব্যাপক ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমাদের মেরে ফেলা হবে। এখানে মুসলমানদের ছয়টি বাড়ি রয়েছে। তারা সেগুলো ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের চেনে বলে কিছু বলেনি।  

তিনি আরো বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে এখানে বাস করছি। হিন্দু-মুসলমান এক পরিবারের মতো থাকি।  

পিন্টু নামে এক হিন্দু যুবক বলেন, আমি হিন্দু হলেও মুসলমানদের নির্যাতন সমর্থন করি না। আমরা কখনোই মুসলমানদের কু-নজরে দেখি না। তাদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করি।

নিরাজ কুমার বলেন, সহিংসতার সময় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি। মুসলমানদের সব রকম সহায়তা করেছি। তাদের দোকান ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রক্ষা করেছি।

এলাকার হিন্দুরা বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও আসে অনেক দেরিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।