শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, আমরা এ ভাইরাসটিকে খাটো করে দেখছি না। এজন্যই আমরা বলছি, এ ভাইরাসটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে ৩২৯ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে, যা এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। চীনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯৫৯, মৃত্যু হয়েছে প্রায় দুই হাজার আটশ মানুষের। বিশ্বের ৫৪টি দেশে এ ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৬৯৪ জন। এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার আটশ ৬১ জনের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রায় ৫৭টি দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এ সংক্রমণে ছড়িয়ে যাচ্ছে বেলারুশ, লিথুয়ানিয়া, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশেও। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সঙ্কট সর্বোচ্চমাত্রা ছুঁয়েছে।
আক্রান্তের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইতালির উত্তর অংশের। দেশটিতে ৬৫০ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা ভাইরাস চীনের মহামারি আকার ধারণ করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন মৃত্যু-হার কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এএটি