তালেবান যদি চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, তাহলে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
এর ফলে আফগানিস্তানে উনিশ বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এখন থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে তালেবান।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কাতারের দোহায় স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধি দলের মধ্যে সাক্ষাতে এ শান্তি চুক্তি সই হওয়ার কথা জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে আফগানিস্তানে আর কোনো হামলা চালাবে না তালেবান। তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদাকেও কোনো তৎপরতা চালাতে না দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে তারা।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের যৌথ এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবারে চুক্তি স্বাক্ষরের ১৩৫ দিনের মধ্যে দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ শেষ হতে ১৪ মাস সময় লাগবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে হামলার পর আলকায়েদাকে এর জন্য দায়ী করে দেশটি। পরে সংগঠনটির প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তৎকালীন তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
তাৎক্ষণিকভাবে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হলেও দেশটিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয় মার্কিন বাহিনী। দীর্ঘ ১৯ বছরের যুদ্ধে ক্লান্ত উভয়পক্ষই এরমধ্যে যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য আলোচনা শুরু করে।
দু’বছরের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে একমত হয় উভয়পক্ষ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধবিরতি সফলতার পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী শান্তিচুক্তির দিকে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয় দু’পক্ষ।
বর্তমানে আফগানিস্তানে মোট ১৪ হাজার মার্কিন সেনা ও ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশের ১৭ হাজার সেনা অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এবি