পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানাচ্ছে, গোকুলপুরিতে একটি খাল থেকে একজনের ও ভাগিরথি বিহার খালে থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার থেকে ৫ দিনের সহিংসতায় দিল্লিতে আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে দিল্লিতে সহিংসতিা শুরু হয়। যে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসেন, সেই সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজধানী, খুব দ্রুত সেই পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, মধ্যরাতে হস্তক্ষেপ করে দিল্লি হাইকোর্ট, পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, সহিংসতার সময় ১৩ হাজার ২০০ ফোন কল পায় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বলা হচ্ছে দিল্লি সহিংসতার নাটের গুরু বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তার উসকানিমূলক বক্তব্যের পরই সহিংতসতা শুরু হয়।
এদিকে দিল্লিতে এতবড় সহিংসতার পরও বিজেপি নেতাদের মুখে লাগাম নেই। তারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। ফলে পরিস্থিতি আবারও উত্তাল হচ্ছে।
“বিশ্বাসঘাতকদের” বিরুদ্ধে “গুলি ব্যবহারের” প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
এছাড়া রোববার কলকাতায় অমিত শাহের সভায় যাওয়ার পথে ‘গুলি করো’ স্লোগান দেন বিজেপি সমর্থকরা।
যতই বাধা আসুক, সিএএ হবেই- এদিন এমন ঘোষণাও দেন অমিত শাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
নিউজ ডেস্ক