রোববার (১ মার্চ) পার্লামেন্টে প্রথম বার্ষিক ভাষণ প্রদানকালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশটির পার্লামেন্টে গর্ভপাত সংক্রান্ত একটি বিল পাঠাবেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গর্ভপাত বৈধকরণ প্রসঙ্গে ফার্নান্দেজ বলেন, রাষ্ট্রকে অবশ্যই নাগরিকদের, বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই একবিংশ শতকে নিজের শরীরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যার যার পছন্দকে সম্মান জানাতে হবে।
'এটা স্পষ্ট যে অনেক নারী গর্ভপাতের পক্ষে। গর্ভপাতকে দণ্ডনীয় অপরাধ করার ফলে অনেক নারী, বিশেষ করে দুস্থ নারীরা লুকোছাপার মধ্য দিয়ে এটি করে থাকে, যা তাদের স্বাস্থ্য, কখনো কখনো জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। '
খবরে বলা হয়, রোমান ক্যাথোলিক ধর্মপ্রধান লাতিন আমেরিকার ২১ দেশের মধ্যে কেবল কিউবা ও উরুগুয়েতে গর্ভপাত বৈধ।
এর আগে ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাক্রিও পার্লামেন্টে গর্ভপাত বৈধকরণের বিল উত্থাপন করেন। কিন্তু সে সময় বিলটির বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ে। পরে প্রেসিডেন্টও এ ব্যাপারটি থেকে সরে আসেন। তাছাড়া চার্চও ওই বিলের বিরুদ্ধে ছিল। এবারে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন নিয়েই প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ গর্ভপাত বৈধকরণ বিল উত্থাপন করতে চলেছেন।
প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণাকে উষ্ণ অভিবাদন জানাচ্ছে গর্ভপাত বৈধকরণের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পেইন চালানো আর্জেন্টিনার নারী অধিকারকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এইচজে