সোমবার (০২ মার্চ) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শিনচেওঞ্জি চার্চ অব জেসাসের প্রতিষ্ঠাতা লি মান-হি হাঁটু গেড়ে বসে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়েছেন।
দেশটিতে চার হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ এ চার্চের সদস্য।
সোমবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৭৬ জন। এতে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪ হাজার ২১২। এছাড়া, এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
অবহেলার অভিযোগে লি’র বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে যাচ্ছেন প্রসিকিউটররা।
৮৮ বছর বয়সী এ ধর্মীয় নেতা বলেন, যদিও এটি ইচ্ছাকৃত নয়, তবুও অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু এটি প্রতিরোধ করতে পারিনি।
আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৮১ জনই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দেগু শহরের অধিবাসী এবং তাদের ৭৩ শতাংশই নিকটবর্তী শিনচেওঞ্জি চার্চের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
এ চার্চ আলোচনার কেন্দ্রে আসার কারণ হচ্ছে, চার্চের সদস্যরা একে অপরের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং শনাক্ত না হওয়ায় দেশজুড়ে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। সদস্যদের নামও গোপন করেছে চার্চটি। এতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো কঠিনতর হয়ে পড়েছে।
চার্চের মুখপাত্র কিম শিন-চ্যাং জানান, তাদের সদস্য, শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের নামের একটি তালিকা তারা দিয়েছে। তিনি বলেন, এসব তথ্য প্রকাশিত হলে আমাদের সদস্যদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম।
এদিকে, লি দাবি করেন, তিনি যিশু খ্রিস্টের ‘দ্বিতীয় অবতার’। বাইবেলে যার কথা বর্ণিত হয়েছে ‘প্রতিশ্রুত যাজক’ হিসেবে, যিনি ১ লাখ ৪৪ হাজার মানুষকে তার সঙ্গে স্বর্গে নেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এমনকি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যেও গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত শিনচেওঞ্জি চার্চ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এফএম