মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (০২ মার্চ) সিয়াটল অ্যান্ড কিং কাউন্টি পাবলিক হেলথ এজেন্সির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেফ ডুচিন করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত চারজন হয় বয়োবৃদ্ধ নয়তো আগে থেকেই বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন অর্থাৎ মৃতদের মধ্যে অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ লোক ছিলেন।
ডা. ডুচিন জানান, তার অধীনে ১৪ জন রোগী ছিলেন। এর মধ্যে আটজন সিয়াটলের কার্কল্যান্ড এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাদুর্ভাব থেকে আক্রান্ত হয়েছেন, এখানে আক্রান্তদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ওয়াশিংটনে করোনা ভাইরাসে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের সবাই সিয়াটলের অধিবাসী বলে জানিয়েছে সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জনকে জাপানের ইয়োকাহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে এবং আরও তিন জনকে সংক্রমণের উৎসস্থল চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি অঙ্গরাজ্যে আরও ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে সতর্কতা ও চিকিৎসাসেবা জোরদার করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এদিকে ছয়জন মারা যাওয়ার ঘটনার পরও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসজনিত ঝুঁকি এখনও কম।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এমএ/