মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, একটি ব্লগ পোস্টে টুইটার জানায়, প্রতিষ্ঠানটির হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করা বাধ্যতামূলক।
প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে তাদের পাঁচ হাজার কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে না এসে ঘরে বসে কাজ করতে প্রবলভাবে উৎসাহ দিয়েছে। এর আগেই টুইটার খুব জরুরি না হলে অনুষ্ঠান বা ব্যবসার কাজে কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের রাজধানী অস্টিনে অনুষ্ঠেয় মিডিয়া সম্মেলন বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
টুইটারের হিউম্যান রিসোর্সেসের প্রধান জেনিফার ক্রিস্টি বলেন, বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, টুইটার দীর্ঘ সময় ধরেই ঘরে বসে কাজ করার উপায় তৈরি করছিল। ‘এটি আমাদের জন্য বড় একটি পরিবর্তন। ইতোমধ্যে আমরা আরও ভালো করে শ্রম বিভাজন করতে পেরেছি। আমরা বিশ্বজুড়ে সেবা দিচ্ছি এবং যে কোনো মানুষকে যে কোনো জায়গায় থেকে টুইটারে কাজ করার সুযোগ করে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। ’
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসে দূরে অবস্থান করে কাজ করার বিষয়টি অনেক আগে থেকেই সমর্থন করেন। গত নভেম্বরে জ্যাক ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছর প্রায় ছয় মাস আফ্রিকায় থাকবেন তিনি এবং সেখান থেকেই সব কাজ করবেন।
টুইটার ছাড়াও ফেসবুক, গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় তাদের মিডিয়া সম্মেলন বাতিল করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এফএম