ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সহজ নীতিতে জার্মানির নতুন অভিবাসন আইন, কী আছে এতে?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২০
সহজ নীতিতে জার্মানির নতুন অভিবাসন আইন, কী আছে এতে?

যারা স্বপ্নের দেশ জার্মানি যেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য সুখবর! কেননা, দেশটিতে দশ লাখের বেশি দক্ষ শ্রমিকের যে অভাব রয়েছে, তা পূরণে তুলনামূলক সহজ নীতিমালায় নতুন অভিবাসন আইন করেছে কর্তৃপক্ষ। যা আবার এরইমধ্যে অর্থাৎ ০১ মার্চ থেকে বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে।

কিন্তু কী আছে এই নতুন আইনে? অবশ্যই প্রশ্নটি জাগবে আগ্রহীদের যে কারও। আর সে হিসেব থেকেই নতুন আইনটির নীতিমালা তুলে ধরা হয়েছে বাংলানিউজের প্ল্যাটফর্মে।

যা আছে নতুন আইনে:
১. আগের আইনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ডিগ্রিধারীরা জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারতেন। নতুন আইনে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্যও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে৷ তবে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছরের হতে হবে এবং এই ডিগ্রি জার্মান ডিগ্রির সমান বলে অনুমোদিত হতে হবে৷

২. সার্টিফিকেট ঠিক আছে কি-না, তা জার্মান শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন পোর্টালে গিয়ে যাচাই করে দেখা যাবে৷ কীভাবে যাচাই করা যাবে, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে ‘মেক ইট ইন জার্মানি’ ওয়েবসাইটে৷

৩. তিনমাসের মধ্যে আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জার্মানি৷ এরপর চার সপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইস্যু করা হবে৷

৪. ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে বসবাসকারীরাও জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন৷ অর্থাৎ আগের চেয়ে আইন সহজ করা হয়েছে৷ কারণ, আগে জার্মানি বা ইইউয়ের নাগরিকরা কোনো চাকরির যোগ্য না হলেই কেবল এর বাইরের কেউ চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷

৫. কারিগরি শিক্ষার যে লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে কম যোগ্যরা চাকরির আবেদন করতে না পারলেও অভিবাসনের চেষ্টা করতে পারবেন৷ তবে শর্ত হচ্ছে, জার্মানির কোনো চাকরিদাতার কাছ থেকে তাদের চাকরির অফার পেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে চাকরিদাতাকে আবেদনকারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুই বছরের মধ্যে তিনি যেন পেশাদার পর্যায়ের সার্টিফিকেট পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷

৬. যারা চাকরির সুযোগ পাবেন, তাদের চারবছর কিংবা চাকরির মেয়াদ পর্যন্ত ভিসা দেওয়া হবে৷  চারবছর পর তারা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷

৭. জার্মান ভাষায় ‘বি২ লেভেল' পর্যন্ত দক্ষতা ও নিজের খরচ বহনের সামর্থ্য থাকলে জার্মানিতে গিয়ে চাকরি খোঁজার অনুমতিও পাওয়া যাবে৷

৮. ৪৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীদের মাসে কমপক্ষে তিন হাজার ৬৮৫ ইউরো আয় করতে হবে৷

৯. জার্মানিতে যেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব প্রকট, যেমন চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, নার্সিং, সেসব ক্ষেত্রে আইন একটু শিথিল করা হয়েছে৷ অর্থাৎ আবেদনকারীর যদি এ সংশ্লিষ্ট চাকরির অন্তত পাঁচবছরের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে জার্মান কর্তৃপক্ষের দ্বারা সার্টিফিকেট যাচাইয়ের যে শর্ত, তার আর প্রয়োজন পড়বে না।

১০. যারা চাকরি পাবেন, তারা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানি নিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সামর্থ্য আছে কি-না তার প্রমাণ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।