কিন্তু কী আছে এই নতুন আইনে? অবশ্যই প্রশ্নটি জাগবে আগ্রহীদের যে কারও। আর সে হিসেব থেকেই নতুন আইনটির নীতিমালা তুলে ধরা হয়েছে বাংলানিউজের প্ল্যাটফর্মে।
যা আছে নতুন আইনে:
১. আগের আইনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ডিগ্রিধারীরা জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারতেন। নতুন আইনে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্যও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে৷ তবে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছরের হতে হবে এবং এই ডিগ্রি জার্মান ডিগ্রির সমান বলে অনুমোদিত হতে হবে৷
২. সার্টিফিকেট ঠিক আছে কি-না, তা জার্মান শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন পোর্টালে গিয়ে যাচাই করে দেখা যাবে৷ কীভাবে যাচাই করা যাবে, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে ‘মেক ইট ইন জার্মানি’ ওয়েবসাইটে৷
৩. তিনমাসের মধ্যে আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জার্মানি৷ এরপর চার সপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইস্যু করা হবে৷
৪. ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে বসবাসকারীরাও জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন৷ অর্থাৎ আগের চেয়ে আইন সহজ করা হয়েছে৷ কারণ, আগে জার্মানি বা ইইউয়ের নাগরিকরা কোনো চাকরির যোগ্য না হলেই কেবল এর বাইরের কেউ চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷
৫. কারিগরি শিক্ষার যে লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে কম যোগ্যরা চাকরির আবেদন করতে না পারলেও অভিবাসনের চেষ্টা করতে পারবেন৷ তবে শর্ত হচ্ছে, জার্মানির কোনো চাকরিদাতার কাছ থেকে তাদের চাকরির অফার পেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে চাকরিদাতাকে আবেদনকারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুই বছরের মধ্যে তিনি যেন পেশাদার পর্যায়ের সার্টিফিকেট পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷
৬. যারা চাকরির সুযোগ পাবেন, তাদের চারবছর কিংবা চাকরির মেয়াদ পর্যন্ত ভিসা দেওয়া হবে৷ চারবছর পর তারা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷
৭. জার্মান ভাষায় ‘বি২ লেভেল' পর্যন্ত দক্ষতা ও নিজের খরচ বহনের সামর্থ্য থাকলে জার্মানিতে গিয়ে চাকরি খোঁজার অনুমতিও পাওয়া যাবে৷
৮. ৪৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীদের মাসে কমপক্ষে তিন হাজার ৬৮৫ ইউরো আয় করতে হবে৷
৯. জার্মানিতে যেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব প্রকট, যেমন চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, নার্সিং, সেসব ক্ষেত্রে আইন একটু শিথিল করা হয়েছে৷ অর্থাৎ আবেদনকারীর যদি এ সংশ্লিষ্ট চাকরির অন্তত পাঁচবছরের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে জার্মান কর্তৃপক্ষের দ্বারা সার্টিফিকেট যাচাইয়ের যে শর্ত, তার আর প্রয়োজন পড়বে না।
১০. যারা চাকরি পাবেন, তারা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানি নিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সামর্থ্য আছে কি-না তার প্রমাণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
টিএ