দেশটির এক ঊর্ধ্বতন পর্যটন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
‘সিলভার স্পিরিট’ নামে ওই জাহাজটিতে ২২ দেশের ৪৮৫ যাত্রী ও ৩৫০ জনেরও বেশি ক্রু রয়েছে।
দেশটির হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী উপ সচিব বলেন, আমার বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এ জাহাজটিকে বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
তবে জাহাজটির কোনো যাত্রীর মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে কি-না, এ বিষয়ে তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যাত্রীদের মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও, মিয়ানমারে পৌঁছানোর পর তা দেখা দিতে পারে এবং তখন এ দেষের জন্য সেটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে, আমাদের জনগণ আক্রান্ত হতে পারে।
ফেসবুকে প্রকাশিত দেশটির স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক পোস্টে জানানো হয়। থাইল্যান্ডসহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, এমন দেশগুলোতে এ জাহাজ নোঙর করেছে, তাই সেটিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, জাহাজটি এখন কোথায় যাবে, তা জানা যায়নি।
কোভিড-১৯ এর উৎসস্থল চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত থাকলেও দেশটিতে এখনো কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়নি। তবে ইয়াঙ্গুন হাসপাতালে কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এর আগে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীবাহী জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের সাত শতাধিক যাত্রী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এফএম