বুধবার (৪ মার্চ) বিরোধী দল 'রিপাবলিকান পিপলস পার্টি'র সংসদ সদস্য এনজিন অজগোকের বক্তব্যের জের ধরে ওই মারামারির ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন ও টুইটার পোস্টে এনজিন অজগোক রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে সিরিয়ার ইদলিবে নিহত হওয়া তুর্কি সেনাদের 'অসম্মান' করার অভিযোগ তোলেন। শুধু তাই নয়, এর সূত্রে অজগোক এরদোগানকে 'অজ্ঞ, নীচ ও বেঈমান' বলেও গালমন্দ করেন।
ওই সংসদ সদস্য এরদোগানের বিরুদ্ধে সিরিয়ার যুদ্ধে তুর্কি শিশুদের পাঠানোরও অভিযোগ তোলেন। অথচ এরদোগান নিজের সন্তানদের সামরিক সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার অজগোকের ওই মন্তব্যের জেরেই পার্লামেন্টে তুমুল হাঙ্গামা ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই মারামারির ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক ডজন পার্লামেন্ট সদস্য তাতে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ ডেস্কের ওপর উঠে বিরোধীপক্ষকে কিল-ঘুষি মারছেন। অনেকে আবার মারামারি থামানোরও চেষ্টা করছেন। সংঘর্ষে কয়েকজন আইনপ্রণেতাকে মাটিতে পড়েও যেতে দেখা যায়।
এ ঘটনার আগে সিরিয়ায় তুর্কি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় এরদোগানও বিরোধী দলকে 'অজ্ঞ, নীচ ও বেঈমান' বলে ভর্ৎসনা করেন। অজগোক সেই মন্তব্যেরই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে 'অজ্ঞ, নীচ ও বেঈমান' বলে মন্তব্য করেন।
তুর্কি পার্লামেন্টের স্পিকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অজগোকের ওই বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা- আন্দালু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এজে/এইচজে