বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) পৌর করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তিন বছর আগে অং সান সু চিকে দেওয়া এ সম্মাননা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভোট দেয় জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সিএলসি কমিটির প্রধান ডেভিড ওটোন জানান, এ সিদ্ধান্তে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পৌর করপোরেশনের নিন্দা প্রতিফলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে অং সান সু চির ঘনিষ্ঠতা তাকে দেওয়া এ সম্মাননা প্রত্যাহারের সিন্ধান্তকে শক্তিশালী করেছে।
এর আগে ২০১৭ সালের মে’তে গণতন্ত্রের জন্য অহিংস সংগ্রাম এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার সঙ্গে মানুষের বসবাসে সমাজ তৈরিতে অটল সংকল্পের কারণে তাকে লন্ডন পৌর করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর আগে এ সম্মাননা অর্জন করেন।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাচৌকিতে কথিত রোহিঙ্গা হামলার অজুহাতে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর আক্রমণে রাখাইনের ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অধিবাসী নিহত হন।
সেনাবাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী।
রোহিঙ্গা বিরোধী এ অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এক মামলার শুনানি হয় নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)। শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অং সান সু চির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
মামলার শুনানির পর মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করে চার অন্তবর্তী আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রক্ষায় দেশটিকে নির্দেশ দেয় আইসিজে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এবি