শনিবার (৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ অঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানজু শহরে জিনজিয়া নামের ওই হোটেলটি ধসে পড়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, করোনায় আক্রান্তদের সঙ্গে নিবিড় সংস্পর্শে গেছেন এমন মানুষদের ওই হোটেলের কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।
খবরে বলা হয়, হোটেলটি ধসে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত অবস্থায় ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আটকে আছেন আরও অন্তত ৭০ জন। তাদের উদ্ধারে জরুরি সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।
তবে ঠিক কী কারণে হোটেলটি ধ্বসে পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
হোটেলটিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বোনের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারছেন না জানিয়ে এক চীনা নাগরিক বলেন, আমি তাদের (স্বজন) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। তারা ফোন ধরছে না। আমি নিজেও কোয়ারেন্টাইনে (আরেকটি হোটেলে) আছি এবং আমি খুবই উদ্বিগ্ন। বুঝতে পারছি না কী করতে হবে। তারা শারীরিকভাবে সবল। প্রতিদিনই তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা আক্রান্ত নয়, বরং স্বাভাবিক।
এদিকে চীনের ফুজিয়ানায় এখন পর্যন্ত ২৯৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হাজার ৮১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে